বিশ্বে দুই শতাধিক দেশ ও আন্তর্জাতিক অঞ্চল রয়েছে। এর মধ্যে জাতিসংঘ স্বীকৃত দেশ ১৯৩টি। ডব্রিউএইচওর তথ্য মতে, ছয় মাসে ভাইরাসটি ১৮৮টি দেশে হানা দিয়েছে।
করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ভয়াবহরূপে ছড়িয়ে পড়লেও এখনও এ ভাইরাস থেকে মুক্ত রয়েছে অন্তত ১২টি দেশ। প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপঘেরা ১২টি দেশে পৌঁছতে পারেনি এই ভাইরাস। এপ্রিলের ১৩ তারিখ পর্যন্ত এ তালিকায় ছিল ১৬টি দেশ। তার মধ্যে চারটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। শুক্রবার পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারিভাবে সংক্রমণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি এসব দেশে।
দেশগুলো যথাক্রমে ১. উত্তর কোরিয়া ২. তুর্কমেনিস্তান ৩. সলোমান দ্বীপ ৪. ভানুয়াতু ৫. সামোয়া ৬. কিরিবাতি ৭. মাইক্রোনেশিয়া ৮. টোঙ্গা ৯. মার্শাল আইল্যান্ড ১০. পালাউ ১১. ট্যুভালু ও ১২. নাউরু।
এছাড়া করোনামুক্ত রয়েছে ভারতের লাক্ষাদ্বীপও। ৩৬টি দ্বীপ ও ৭০ লাখ বাসিন্দা নিয়ে গঠিত আরব সাগরের এই দ্বীপপুঞ্জটিতে আজও পর্যন্ত একজনও শনাক্ত হয়নি।
কিন্তু করোনা যখন বিশ্বের আনাচে-কানাচে পৌঁছে গেছে, তখন এসব দেশ কিভাবে মুক্ত থাকল সে বিষয়ে বিশ্লেষকদের মতামত এখানে তুলে ধরা হল-
উত্তর কোরিয়া:
চীনা প্রাদুর্ভাবের পরই বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে নিজেদের সীমান্ত সিলগালা করে দেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ২১ জানুয়ারি সীমান্ত চীনের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশটির সীমান্ত হওয়ার পর আজ পর্যন্ত খোলা হয়নি। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনসহ নানা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়। এর মধ্যে বিদেশ থেকে দেশে ফেরা নাগরিকদের জন্য এক থেকে দুই মাস কোয়ারেন্টিনে রাখা অন্যতম। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত সংক্রমণের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
তুর্কমেনিস্তান:
উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, ইরান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত দিয়ে ঘেরা মধ্য-এশিয়ার অন্যতম দেশ তুর্কমেনিস্তান। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে করোনার খবরের সঙ্গে সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয় দেশটির সরকার। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়। সেই সঙ্গে সিলগালা করে সীমান্ত। এখন পর্যন্ত বিদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ওশেনিয়া মহাদেশের ১০ দেশ:
তিন ওশেনিয়া মহাদেশের দেশগুলোতে বিশ্বের সবচেয়ে কম লোক যাতায়াত করে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় এমন ১০টি দেশই কোভিড-১৯ মুক্ত। দেশগুলোতে করোনা না পৌঁছানোর অনেক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম এগুলোর দুর্গম ভৌগোলিক অবস্থা। দ্বীপদেশ হওয়ায় লোকজনের যাতায়াত কম। ঘনবসতিও নেই। ফলে সেখানকার বাসিন্দারা এমনিতেই বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করে। প্রাকৃতিকভাবে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা সহজ হয় এসব দেশে।
Leave a Reply